“পড়তা”
একজন বড় সরকারি আধিকারিক মিঃ সিং,দিল্লী থেকে পূজার সময়
কলকাতায় বেড়াতে এসেছেন। উঠেছেন দঃকলিকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে।বেশীর ভাগ পঞ্চাশত্তম বড় বড় কাজের মানুষের মতো
তিনিও নিদ্রাহীনতায় ভোগেন এবং রাত্রে জাগেন দিনে ঘুমান,
তাই আর্লি রাইসার।ভোর চারটের সময় উঠে তিনি বালিগঞ্জ লেকে গেলেন মর্নিং ওয়াক
করতে।হাঁটতে হাঁটতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে একটা বেঞ্চে্ বসে পড়লেন। আর বসতে না বসতেই ভোরের
লেকের ঠাণ্ডা হাওয়ায় ঘুমে তাঁর চোখ জড়িয়ে গেল। সবে তিনি চোখ দুটো একটু
বন্ধ করেছেন, এমন সময় অনুভব করলেন যে কে যেন তাঁর পকেট হাতড়াচ্ছে। তিনি কাল বিলম্ব
না করে হাতটা চেপে ধরলেন । তারপর হিন্দিতে
বললেন- তোমার সাহস তো কম নয়? সক্কাল সক্কাল তুমি আমার পকেটে হাত ঢুকিয়ে কাঁচা ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলে? লোকটিও কাঁচু মাঁচু
হয়ে হিন্দিতেই জবাব দিলে – সরি স্যার ভুল
হয়ে গেছে, আসলে আমি বুঝতেই পারিনি যে আপনার ঘুমটা এতো পাতলা? তাই অসাবধান বশতঃ আপনার কাঁচা ঘুমটা ভাঙিয়ে দিয়েছি।এবার হাতটা একটু ছাড়ুন
স্যার, একবার আপনার পায়ের ধুলো নিই।অনেক বছর এই কাজ করছি,কিন্তু কেউ কোন দিন আমায় ধরতে
পারেনি।আজই প্রথম আপনার কাছে ধরা খেলাম, আপনি মহাপুরুষ।
নিজের প্রশংসা কার না ভালো লাগে? তবু মিঃ সিং গর্জে উঠলেন-
-But what business you have in my pocket?
-কি যে বলেন স্যার শুধু
আপনারই নয়,পৃথিবীতে যেখানে যত পকেট আছে সবই আমার বিজনেসের মধ্যে পড়ে, মানে পকেট নিয়েই তো আমার কাজ কারবার কিনা? তবে নেক্সট টাইম কেয়ারফুল
থাকব, প্রমিস করছি
আর কারো কাঁচা ঘুম ভাঙাব না।
-কি নাম তোমার?কথা শুনে তো মনে হচ্ছে যে তুমি ভাল ঘরেরই ছেলে, লেখাপড়াও
জান।তা হঠাৎ এ লাইনে এলে কেন? আর পকেট মারাটা কী স্কুলেই শিখেছ
নাকি?
-আঁজ্ঞে আমার নাম বিশু।শখ করে কি কেউ এ লাইনে মার খেতে আসে?কিন্তু কি করব
বলুন? ঠিক কলেজের ফাইনাল পরীক্ষার আগে,
চিট ফাণ্ডে রাখা বাবার টাকা গুলো মার গেল।আর পড়াশুনো করতে পারলাম না।তারপরেই এ
লাইনে আসা।ইশকুলে নয় পকেটমারাটা আমি দস্তুর মতো এ্যাডমিশন নিয়ে কলেজে শিখেছি।
-কোন কলেজে?
-আঁজ্ঞে আমাদের কলেজের নাম IIB.ফুল নেম Indian
Institute of Burglary. ওখানে আমি pick pocketing এ ডিপ্লোমা করেছি।চাকরী বাকরি তো কিছু হল না,
তাই পেটের দায়ে এটাই করে খাচ্ছি।
-তাই বলে তুমি আমার পকেটে হাত ঢোকাবে? জান দিল্লীতে আমি হোমে আছি?
-যাঃ এটা
আবার একটা কথা হল নাকি? লোকে তো হোমেই থাকে।আমিও থাকি।
-সে হোম নয়, আমি মিনিস্ট্রি অফ হোমে আছি।
-তাই বা এমনকি বড় দফতর হল?কাজ তো শুধু সরকারী হোম গুলোর দেখা শুনা করা?
মিনিসট্রি অফ রেল হলেও তবু কথা
ছিল, দুটো লোককে চাকরিতে ঢোকাতে পারতেন?
-দুটো লোককে কাজে ঢোকাতে না পারি, তোমায় আমি জেলে ঢোকাতে পারি।
-জানি আপনি অনেক কিছুই করতে পারেন।তবে শেষ পর্যন্ত কিছুই করবেন না।
-কি করে জানলে?
-আঁজ্ঞে এটা জানা আর শক্ত কাজ কি? আমি আগেই দেখে
নিয়েছি যে আপনার পকেটে কোন মোবাইল ফোন নেই।আর থানা এখান থেকে
এক মাইল। আমার মত একজন
ফালতু লোকের জন্য ওই মোটা শরীরে এতটা পথ হাঁটা আপনার পোষাবে না। এক কথায় পড়তা হবে না।
-what is parta?
-Parta is a calculation of profit and loss. আর এই পড়তার কথা ভেবেই
লোকে অন্যায় দেখলেও চেপে যায়, প্রতিবাদ
করে না।
-বাজে কথা রাখ।এখন থানায় চল।
-বেশ তো চলুন না। তবে আজকে আপনার জরুরী কোন কাজ কর্ম নেই তো?
-থানায় যাবার সঙ্গে অন্য কাজ কর্মের কি রিলেশন?
-না মানে, এমনিতে কোনও রিলেশন নেই।তবে থানা বলে কথা তো? এবলা ওবলার
ব্যাপার।
-সেটা আবার কি?
-বুঝলেন না?বেশ বুঝিয়ে দিচ্ছি। এখন থানায় গিয়ে দেখবেন একজন কনস্টেবল নাইট
ডিউটির শেষে টুলে বসে ঢুলছে। যদি সে আপনার কথা শোনেও তো বলবে, -বসতে হবে।অফিসারেরা
এখন ব্যস্ত।বড়বাবু এখনও নামেননি।এ বেলা
কিছু হবে না, ও বেলা আসুন।
-বললেই হল? আমি ওদের বুঝিয়ে দেব যে আমি কে?
-যারাই থানায় যায়, তারা হয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, অথবা তাদের বড় বড় চেনা
পরিচিতি থাকে।এটা নতুন কোনও কথা
নয়।চৌকিদার,হাবিলদার,জমাদার থেকে অফিসাররা সকলে রোজই তা দেখেন ও শোনেন। এবং বিশ্বাস করেন না। সুতরাং আপনাকে তারা
পাত্তাই দেবেন না।ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখবেন।
-কি আমাকে পাত্তা দেবে না? আমি আমার আই কার্ড দেখাব।
-ওরকম আই কার্ড ও সকলের কাছেই থাকে।এই দেখুন না, আমার কাছেই CBI
Inspector থেকে SBI
Manager দের সব রকম আই
কার্ড আছে।
-তুমি এসব আগডুম বাগডুম বকে আমায় নিরস্ত করতে পারবেনা।তোমায় আমি পুলিশে
দেবই দেব।
-তা দিন তাতে দুঃখ নেই।তবে আপনি যেমন কাজ করেন পেটের দায়ে, আমি ও তো তাই ই
করি। তবে খামাখা আমায় ধরে টানাটানি করছেন কেন?
-শুধু কাজ করলেই কি হবে? কাজের ভালো মন্দের দিকটা দেখতে হবে না? তার ওপর
তুমি আবার আমার সঙ্গে নিজের তুলনা করছ? আমরা কাজ করি সম্মানের জন্য, আর তোমরা কর
পয়সার জন্য। বলি ব্যাপার দুটো কি এক হল?
-না এক হবে কেন?তবে এটা তো জানাই কথা, যার যেটা নেই সে সেটার জন্যেই খাটবে।
চলুন এবার যাওয়া যাক।
খানিক দূর গিয়ে বিশু বললে-একটা কথা বলব স্যার?
-নাঃ Impossible, তোমরা বাঙালীরা বড্ড টকেটিভ, এই জন্য তোমাদের উন্নতি
হয়না ঠিক আছে বলে ফেল কি বলবে?
আমতা আমতা করে মাথা চুলকতে চলকতে বিশু বললে-
-এই বলছিলাম আর কি স্যার, আমিতো রোজই এই সময় পকেট মারি কিন্তু ধরা পড়ি
না। তারপর বাড়ি গিয়ে চা জলখাবার খাই। কিন্তু এখন আপনার
সঙ্গে থানায় গেলে চা তো ঠাণ্ডা হয়েই যাবে, উপরন্তু দুপুরের খাওয়াটাও ঠিক সময়ে
হবেনা।এদিকে আপনার বৌমাও চিন্তা করবে।তাই বলছিলাম কি?যদি পারমিশন দেন তো বউকে একটু বলে আসি।
-মিঃ সিং একটু চিন্তা করে বললেন –ঠিক আছে যাও, কতক্ষণে আসবে?
-এই স্যার মিনিট পনেরো লাগবে।
-ঠিক আছে যাও। দেরি করবে না কিন্তু?
বিশু হাওয়া হয়ে গেল। আধ ঘণ্টা পরেও সে আসছে না দেখে, ঘন ঘন ঘড়ি দেখতে দেখতে
মিঃ সিং মনে মনে বললেন-নাঃ, বাঙালী জাতটার কোন সময় জ্ঞান নেই। এই জন্যেই এরা
উন্নতি করতে পারে না। আরও আধ ঘণ্টা দেখে,রেগে মেগে দাঁত কিড়মিড় করতে করতে তিনি
বাড়ির পথে পা বাড়ালেন আর মনে মনে বললেন-দাঁড়াও বাছাধন, আর একদিন তোমায় হাতে পাই
তারপর দেখাব মজা।
সেই আরেকটা দিন যে এত তাড়াতাড়ি এসে পড়বে, মিঃ সিং তা ভাবেন নি।কয়েক দিন পরে
আবার লেকে মর্নিং ওয়াকের সময় বিশুর সঙ্গে
দেখা হয়ে গেল।এ দিন সে হাঁটতে হাঁটতে আন্য একজন লোকের পকেট মারছিল।মিঃ সিং তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে
বললেন –“সে দিন তো খুব পালিয়ে ছিলে বাছাধন? আজ আর তোমায় ছাড়ছি না।বলি আজ বাড়িতে বলেকয়ে
বেরিয়েছ তো”?
-“হ্যাঁ তা আর বলতে? চলুন যাই কোথায় যেতে হবে”?
বিশু যার পকেট মারছিল, মিঃ সিং তাকেও অনুরোধ করলেন সঙ্গে আসার জন্য।
কিন্তু সে লোকটি কোনও উৎসাহ না দেখিয়ে সটকে পড়ল
।অগত্যা মিঃ সিং কি আর করেন?
বিশুকে বললেন -“তুমি
ই তাহলে পথ দেখিয়ে থানায় নিয়ে চল”?
বিশু বললে-“ সে তো যাবই, তবে আপনি বারবার ঘুরেফিরে শুধু আমাকেই ধরছেন কেন বলুন
তো”?
-“বাঃ বেশ কথা? তুমি একটা unlawful কাজ করবে? রাস্তা ঘাটে
লোকের পকেট মেরে বেড়াবে?
আর তোমায় ধরলেই দোষ”?
-“ না দোষ গুণের কথা নয়, তবে আইনটা সকলের জন্যই সমান হওয়া উচিত। যে লোক
গুলো চিট ফান্ডের নামে আমাদের পকেট মারল, তাদের
ধরছেন না কেন”?
-“ ধরা তো হয়েছে, প্রমান হলেই সাজা হবে”।
-“প্রমাণটা আর সাজাটা আমাদের মতো গরীবদের ই হয়।বড় লোকেরা সব ছাড় পেয়ে যায়।
আচ্ছা চলুন এখন থানায় যাওয়া যাক”?
খানিকটা পথ চলার পর, মি সিং হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে
বললেন-“ শোন বিশু সেদিন আমি তোমার জন্য
এক ঘণ্টা এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, আজ তুমি
দাঁড়াবে। আমি বাড়ি চললাম চা খেতে। তারপরই মত
পরিবর্তন করে বললেন, না তোমায় জেলে না ঢুকিয়ে আমি চা কেন জল ও খাব না”।
থানায় পৌঁছে মিঃ সিং বুঝলেন যে এখানে বিশুর যাওয়া আসা আছে।সবাই তাকে চেনে।
বিশুর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ঘণ্টা খানেক পরে একজন থানা অফিসার ওদের নিয়ে কেস
ডায়রি লিখতে বসলেন।প্রথমেই তিনি জানতে চাইলেন যে “কেস টা কি”? আর কোথায় কখন
হয়েছে”?
মিঃ সিং গম্ভীর গলায় বলতে শুরু করলেন-“দু তিন দিন আগে ভোর বেলা বালিগঞ্জ
লেকের একটা বেঞ্চে ঘটনাটা ঘটেছে। মর্নিং ওয়াক করে টায়ার্ড হয়ে, সেখানে বসে যখন আমি
ঘুমচ্ছিলাম, তখন এই লোকটা মানে ছেলেটা আমার পকেটে হাত দিয়ে ছিল”।
থানা অফিসার হাতে রুল নাচাতে নাচাতে বললেন-“আপনার বক্তব্যের মধ্য অনেক
অসঙ্গতি রয়েছে।এভাবে তো কেস সাজান যাবে না।প্রথমত লেকটা সাত মাইল লম্বা, এবং এর
মধ্যে তিন তিনটে থানার ভাগ আছে। সুতরাং ঘটনাটা ঠিক কোথায়?I
mean লেকের কোন
পাড়ে, কত নম্বর বেঞ্চে,কোন গাছ তলার নীচে ঘটেছিল?
কবে ঘটে ছিল? তারপর যে আপনার পকেটে হাত ঢুকিয়ে ছিল, সে ছেলে না লোক এ সব কিছুই
আপনি ঠিক করে বলতে পারছেন না। তারপর আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে একে identify
ই বা করলেন কি
ভাবে”?আর কোনও witness ছিল কি? এ সব না জেনে তো কেস ডায়রি লেখা যাবে না।শুধু তা ই নয়
পকেটে হাত ঢোকানটা তো কোন crime নয়।কিছু নিয়ে ছিল কি”?
বিশু এতক্ষণ শান্তশিষ্ট ল্যাজ বিশিষ্ট ভ্যাবা গঙ্গারাম হয়ে বসে ছিল। এবার সে নড়ে
চড়ে বসে মুখ খুলল-“ বলি নেবার মতো কিছু থাকলে তো নেব? ছিল কটা ATM card, কটা credit
card, একটা আই
কার্ড, কিছু খুচরো পয়সা আর গার্ল
ফ্রেন্ডের একটা ছবি”।
-“ওটা গার্ল ফ্রেন্ড নয় আমার বৌ এর ছবি। কিন্তু তুমি এসব জানলে কি ভাবে”?
-“কেন মানি ব্যাগটা বের করে?তারপর নেবার কিছু নেই দেখে যেই ব্যাগটা যথা
স্থানে রাখতে গেছি আপনার ঘুম ভেঙ্গে গেল, আর অমনি আপনি আমায় ধরে ফেললেন।আসলে Institute
এ আমাদের তো শুধু মারাটাই শেখান হয়, ফেরত টা শেখায় না, তাই ফেরৎ দিতে গিয়ে ধরা পড়ে
গেছি।
থানার অফিসার বললেন –“আপনার পকেট থেকে ও যদি
কিছু না ই পিক করল, ওকে আমি পিক
পকেটিং এর চার্জে এ্যারেসট করি কি করে”?
মিঃ সিং এর গাম্ভীর্য একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকলেও শেষ বারের মতো তিনি বলার
চেষ্টা করলেন
- কিন্তু সে দিন যা হোক হয়েছে, আজও কিন্তু এ লেকে একজনের পকেট মারার
চেষ্টা করছিল”।
অফিসার বললেন-“ এই দেখুন আবার সেই অসঙ্গতি?একজন মানে কে? কি তার নাম? কোথায়
থাকে?এ সব না জানলে কি করি? তাকে সঙ্গে করে আনলেন না কেন? তারপর কোন থানা এরিয়ায়
ঘটেছে ব্যাপারটা?সেটাও জানা দরকার। এরপর অফিসার মুখ গম্ভীর করে কি ভাবলেন, তারপর বললেন- এ কেসের মাথা মুণ্ডু কিছুই আমি বুঝছি না। অথচ যার সঙ্গে আপনি এসেছেন, তাতে
আপনাকে যেতেও বলতে পারছি না।অন্য কেউ হলে
যাহক একটা কিছু বলে দিতাম।কিন্তু আপনাকে আমি কি বলি বলুন তো? ঠিক আছে আপনি এক কাজ
করুন,বাইরে গিয়ে, একটা সাদা কাগজে নিজের নাম ঠিকানা আর যা যা ঘটেছে সব কিছু লিখে জমা দিন।আর হ্যাঁ ভালো
কথা, সে দিনও কি আপনি এই প্যান্টটাই পরে ছিলেন?
-“হ্যা, কেন বলুন তো”?
-“ওটা লাগবে। কারন পকেটটা যেহেতু প্যান্টেরই পার্ট।তাই court এ ওটা exhibit
করতে হবে।
প্যান্টটা খুলে চিঠি আর
মানি ব্যাগটা থানায় জমা দিয়ে রসিদ নিয়ে যাবেন।কেস যতদিন চলবে জিনিষ গুলো এখানেই
জমা থাকবে।যান এখন বাইরে গিয়ে বসুন। বড়বাবু নামলে পর আপনাদের ভ্যানে বসিয়ে অকুস্থলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপারটা reconstruct
করে বোঝার চেষ্টা
করব”।
প্যান্ট খুলে দিতে হবে শুনে, মিঃ সিং এর সব গাম্ভীর্য এক কথায় উবে গেল।তিনি
কেমন যেন বোকা বোকা হয়ে গেলেন। ভাবলেন
প্যান্ট খুলে বাড়ি ফেরাটা,তার উপর আত্মীয়ের বাড়ি ফেরাটা কোনও কাজের কথা নয়।তারপর এখানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে পরিচয় পত্রের আসল পরিচয়টাও ফাঁস হয়ে যেতে পারে। ক’দিনের জন্য বেড়াতে এসে এ সব ঝামেলায় না পড়ে, এখন এখান থেকে মানে মানে কেটে পড়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। একরকম ছুটেই তিনি থানা
থেকে বেরিয়ে, সোজা বাড়ির পথে হাঁটা দিলেন।
তাকে দেখে বিশু মনে মনে হেসে বললে- লোকটা এতক্ষণে পড়তা কথাটার মানে বুঝল”।
১৭/০৯/২০১৬