যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে
বাবা যখন বুরুশ বুলিয়ে
গালে সাবান মেখে দাড়ি কামাতেন, বগলে একটা পুতুল নিয়ে ছোট্ট খুকু হাঁ করে দেখত।বাবা একদিন
ঠাট্টা করে তাকে বললেন- “ ভাল করে শিখে রাখো।বড় হলে তোমার ও যখন দাড়ি গজাবে, তখন ঠিক এমনি ভাবে কামাবে”।বাবার কথা শুনে ছোট্ট খুকু খিল খিল করে হেসে গড়িয়ে পড়ল। হাতে ধরা পুতুলটাকে বলল-“ শোন একবার বাবার কথা শোন, আমার নাকি দাড়ি গজাবে”? তারপর বাবাকে বলল-“
তুমি কিচ্ছু জান না বাবা।আমি তো মা হবো, মায়েদের কি দাড়ি হয়”? বাবা তার দিকে তাকিয়ে থেকে
ভাবলেন যে,স্কুলে পড়ে ছিলেন-ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।কিন্তু তার থেকেও বেশী
সত্য জেগে আছে শিশুর মাতা সব মেয়েরই অন্তরে। মেয়েরা মা্ হয়েই জন্মায়।
উঠনে দালানে
পুতুল বগলে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে বড় হয়ে উঠল খুকু। ভর্তি হল ইস্কুলে।
কলকল কলরবে
মেতে উঠে বেণী দুলিয়ে, হাসির বন্যা বইয়ে যখন সে তার সহপাঠীদের সঙ্গে ইস্কুলে যেত,
মনে হত যেন কোন প্রানবন্ত পাহাড়ি ঝরনা পথ ভুলে নেমে এসেছে সহরের রাজপথে।কিন্তু কৈশরেই তার
উচ্ছলতা কমে, ক্রমে সে গম্ভীর হতে শুরু
করল। মাঝে মাঝে উদাস হয়ে কি যেন ভাবে, কোথায় যেন হারিয়ে যায় সে।আর একটু বড় হতে তাকে
পেয়ে বসল গভীর এক বিষণ্ণতায়।পড়াশুনোয় সে বরাবরই ভাল।প্রতি বছর ভাল রেজাল্ট করে
ক্লাসে ওঠে।অন্যান্য সব ব্যাপারই তার ঠিকঠাক আছে, শুধু মাঝে মাঝে সে বিষণ্ণ হয়ে
পড়ে।সেই সময়ে কিছুই ভাল লাগেনা তার।ছোট বেলায় এত যে হাসিখুশি ছিল,এত খেলাধূল ভালবাসত,বন্ধুদের
সঙ্গে সব সময় হাসি ঠাট্টায় মেতে থাকত, হঠাৎ কি এমন হল? তার এই আকস্মিক
পরিবর্তনটা সর্ব প্রথম মায়ের নজরে পড়ল।ব্যাপারটা ভাল লাগল না তাঁর।তবে তিনি কী ই
বা করেন? মফস্বল সহরের মধ্যবিত্ত ঘরের বড় সংসারের বড় বৌ তিনি। বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ি আছেন, আছে ননদ দেওরের দল।সবদিক
সামলে সকলের মন জুগিয়ে নিজের ছেলে মেয়েদের কাছে অনেক সময় পৌঁছুতেই পারেননা। তবু একদিন ফাঁক পেয়ে খুকু কে জিজ্ঞাসা করলেন-
“কী হয়েছে রে
তোর? সব সময় অমন গুম মেরে মনমরা হয়ে বসে থাকিস কেন”?
খুকু
অন্যমনস্ক ভাবে হালকা গলায় বলে ছিল-“ কৈ না, কিছু হয়নি তো”?
মা বলেন “আমি
কিছু জানিনা ভেবেছিস? ভুলে যা ওসব।মেয়েদের পুরন কথা মনে রাখতে নেই। ভগবান মেয়েদের
মনটাকে গড়েছেন ফুলের পাপড়ির মতো নরম করে, অথচ আঘাতটা তাদেরই নিতে হয় বুক পেতে”।
এরপর ধীরে
ধীরে ব্যাপারটা নজরে আসে বাড়ির অন্যান্য দেরও।সেই সময় একদিন ঝুনু মাসী এসে হাজির।ঝুনু মাসী ওর থেকে বছর দুয়েকের বড় হলেও, বন্ধুরই মতন।তার
সঙ্গে খুকুর খুব ভাব।ঝুনু ওকে জিজ্ঞাসা করল-“হ্যাঁরে? কি ব্যাপার বলত? তুই নাকি
আজকাল প্রায়ই মনখারাপ করে বসে থাকিস? বলি প্রেমে টেমে পড়লি নাকি”?
ও বলে-“নানা
সেরকম কিছু নয়”।
-“তবে কি”?
-“বড্ড চিন্তা
হয়”।
-“কিসের
চিন্তা”?
-“এই দেখনা
আমাদের এই এত বড় সংসারে বাবাই একমাত্র রোজগেরে মানুষ।দাদাও তেমন কিছু করে উঠতে
পারছে না।এখন বাবার যদি একটা ভালমন্দ কিছু…………”।
ঝুনু মাসী
হেসে বললে-“ ও হরি এই ব্যাপার? আমরা ভাবছি কি না কি? তুই ছেলে মানুষ, বাড়িতে বড়রা
তো আছেন?এসব তাদের ভাবতে দে না? তুই থাক তোর পড়াশুন নিয়ে।অত ভাবিস কেন? জামাইবাবু
খুব বুদ্ধিমান মানুষ, ব্যবস্থা কিছু একটা করে রেখেছেন নিশ্চই। তারপর তুই তো আছিস,
ভালো করে পাস করে,সংসারের হাল ধরতে পারবিনা”? এতেও সমস্যার সমাধান হল না।যথা
পূর্বং তথা পর্ং।খুকু সেই বিষণ্ণই রয়ে গেল।তারপর যৌথ পরিবারে যা হয়।সব সমস্যার একটাই সমাধান,বিয়ে দিয়ে দাও। অর্থাৎ পাপ বিদেয় কর। রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন খুকুর মা।বলে ছিলেন কখনই নয়।মেয়েকে আমি আরও পড়াব। ওকে কিছুতেই আমি আমার
মতো হতে দেব না। নিজের পায়ে না দাঁড়ান পর্যন্ত ওর বিয়ে দেব না।এরপর খুকু খুব ভাল
মার্কস পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করল।তারপর যেদিন সে ভূগোলে অনার্স নিয়ে B.A. পাস করল, আবার সেই
পুরন হাস্যোজ্জল খুকু ফিরে এল।এবার সে চাকরি করে বাবাকে সাহায্য করবে।মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে।কিন্তু একে মফস্বল সহর
তায় যৌথ পরিবার।এক বাড়িতে তিন বংশের তিন রকম চিন্তা ধারা।কেউ বলে অনেক পড়া হয়েছে, আর কি দরকার, এবার বিয়ে
দিয়ে দাও।কেউ বলে না না B.A.পাসটা কোন যোগ্যতাই নয়,M.B.A হলে ও না হয় বুঝতাম।কেউবা
বলে এবার একটা চাকরির চেষ্টা দেখ।খুকু M.A ক্লাসে ভর্তি হল আর
তার সঙ্গে চাকরির চেষ্টা করতে লাগলো। আর
যৌথ পরিবারের লোকজনে যেটা সব থেকে ভাল পারে, সেই বিয়ের সম্বন্ধ দেখা, সেটা চলতে
থাকল।মুস্কিল হল ওর M.A
পাসের পর পর। এক সঙ্গে অনাক গুলো বিয়ের সম্বন্ধ,
রিসার্চের ডাক, একটা জলজ্যান্ত সরকারী চাকুরি,সব এক সঙ্গে এসে হাজির হল।এ বলে আমায় দেখ তো ও
বলে আমায়। কোনটা ছেড়ে কোনটাকে ধরে। এর মধ্যে আবার একটা ছিল বিদেশে যাবার প্রলোভন।
চাকরিটা খুকু
হাতছাড়া করতে পারল না।স্কুল সারভিস কমিশনের মাধ্যমে একটা ইস্কুলে পড়াবার চাকরি পেল
ও। কিন্তু পোস্টিং হল
অনেক দূরে্। এতটাই দূরে যে বাড়ি থেকে যাওয়া আসা করা যাবেনা।সে খানেই বাসা ভাড়া করে থাকতে হবে।এ ব্যাপারে পরিবারের আর কেউ কিছু না
বললেও খুকুর বাবা একটু মৃদু আপত্তি তোলেন। বলেন- “আরও অন্য জায়গায় চেষ্টা কর না, অত দূরে তুই একা একা
থাকবি, কত কিছুই তো হতে পারে। টাকাটাই কি সব”? ওর দাদা এগিয়ে এসে বলল-“তুমি যে কি বল
না বাবা? সেই আগেকার কাল কি আর আছে? মেয়েরা এখন একা একাই হিল্লিদিল্লি করছে।ওদের
ছেড়ে দিতে হয়।না হলে জীবনে উন্নতি করতে পারবেনা”। শেষ পর্যন্ত চাকুরি নেওয়াটাই ওর
ঠিক হল।এবং সেই দূর গ্রামের উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কাজে যোগ দিল ও। এ দিকে আর এক সমস্যা হল, ওদের দূরসম্পর্কের একজনের
মাধ্যমে ওর বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়ে গেল।তারা খুব বড় ঘর।ছেল উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী,ভবিষ্যতে অনেক উন্নতি করবে।
তার থেকেও বড় কথা একেবারে চেনা শুনার মধ্যে পালটি ঘর, দেনাপাওনাও নেই।সুতরাং বিয়ে
ঠিক হয়ে গেল। এখন সমস্যা হল খুকু কি চাকরি করবে না ছাড়বে?
এ ব্যাপারে
পাত্র পক্ষের বক্তব্য অত্যন্ত প্রাঞ্জল।পাত্রের বাবা খুবই রাশভারী প্রকৃতির মানুষ
হোলেও এবিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার তিনি ছেড়ে
দিয়েছেন পত্রী পক্ষের উপর।সুতরাং এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদেরই।কিন্তু
মুস্কিল হোল যে এ বিষয়ে কেউই কোন সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না।বড় বড় সহরের
মানুষ দের মধ্যে বর বৌ এর পৃথক বাসস্থান,
বর লন্ডনে বৌ আমেরিকায়, বা বর বম্বে বৌ দিল্লিতে এসব অনেক কাল শুরু হয়ে
গেছে।কিন্তু গ্রামে বা মফস্বলে এখনও এই ধরনের ঘটনা একটু নতুন।তাই খুকুর রক্ষণশীল পরিবারের
সদস্যদের এই ঘটনাটা তাই মেনে নিতে কষ্ট
হচ্ছে। এ দিকে খুকুর ইস্কুলে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে, সে সেখানে যথারীতি বাসা ভাড়া
করে কাজে ও যোগ দিয়েছে।শনিবার বাড়ি আসে,
রবিবার থেকে, সোমবার চলে যায়। এক রবিবার সকালে বাড়ির বৈঠক খানায় পরিবারের সকলে জমায়েত হোলেন, খুকুর চাকরি করা বা
ছাড়া নিয়ে আলোচনা করতে।বয়স্কদের মধ্যে ছিলেন খুকুর
ঠাকুরদা ঠাকুরমা, এ বাড়ির প্রাচীন গৃহশিক্ষক অনিমেষ বাবু ও খুকুর বাবা।মধ্য
বয়স্কদের মধ্যে ছিলেন খুকুর ছোট কাকা, এক পিসী ও তার নিজের দাদা। আর খুকু তো
ছিলই।অনিমেষ বাবুর কাছে খুকুর বাবা কাকা থেকে নিয়ে খুকু পর্যন্ত সকলেই পড়েছে।সে জন্য তিনি এদের
অভিভাবক গণের একজন।তাঁকে উদ্দেশ্য
করেই প্রথমে কথা পাড়লেন খুকুর বাবা, বললেন-“জ্যেঠু আপনি তো জানেনই আমাদের সমস্যার কথা।এ বিষয়ে আপনার কি মত?ও কি চাকরি করবে না ছাড়বে”? অনিমেষ বাবু হেসে বললেন-“
আমরা হলাম গিয়ে প্রাচীন যুগের মানুষ।আর তোমাদের এই
সমস্যাটা একেবারেই নব্য যুগের।তাই তোমরা নবীনরাই আগে বল আমরা শুনি”।খুকুর
ছোট কাকা কিছু একটা বলার জন্য অনেকক্ষণ থেকে উসখুস করছিল।এইবার সুযোগ পেয়েই বলতে
শুরু করল-“ছেলে হোক বা মেয়ে, বিবাহিত বা
অবিবাহিত, এ বাজারে পাকা সরকারী চাকুরী কেউ ছাড়ে? আমার অনেক বন্ধুবান্ধব বেসরকারি ফার্মে
বড়বড় পোষ্টে আছে। প্রতি দু তিন বছর অন্তর তারা চাকুরি ছাড়তে বাধ্য
হয়। অনেককে আবার তারপর এক দেড় বছর বসেও
থাকতে হয়। তা হলেই বুঝুন
একটা সরকারী চাকরীর কি দাম”?
সে থামলে
পর খুকুর পিসী বললে-“ এবার আমি একটা
কথা বলি, হ্যাঁরে খুকু, বলি সেই পরের
গলগ্রহেই যদি থকবি তো রাত জেগে নোট মুখস্ত করে পড়াশুন করলি কেন রে?
সভায় সবাই
কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকার পর খুকুর দাদা বললে-“জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়ানটাই বড়। তারপর
আজ যার ভরসায় তুমি চাকরী ছাড়বে, কাল সে যদি তোমায়
ছেড়ে যায়? তখন একূল ওকূল দুকুলই যাবে। সুতরাং যা করবে, ভেবে চিন্তে করবে”।
খুকুর ঠাকুরমা
বললেন-“ সবই ঠিক আছে তবে, একজন সার্থক মা হওয়াতেই নারী জীবনের সার্থকতা। মেয়ে হয়ে
তুমি মা হবে না, স্বামীর ঘর করবে না ,
শুধু নিজের পায়ে দাঁড়ানর নামে আর্থই
রোজগার করে যাবে, এইভাবে সামাজিক দায়িত্ব এড়িয়ে শুধু অর্থ রোজগার করাটা আত্ম
কেন্দ্রিকতা, স্বার্থপরতা ও দায়িত্ব জ্ঞান হীনতার পরিচয় । এই সময় খুকুর মা সকলের
জন্যে চা বিস্কুট নিয়ে ঘরে ঢুকলে খুকুর ঠাকুরদা বললেন-বাঃ বেশ ভাল সময় তুমি এলে বৌমা, এবার তুমি কিছু বল? খুকুর
মা তাঁর ঘোমটাটা একটু ঠিক করে নিয়ে হেসে বললেন- এখানে আপনারা থাকতে আমি আবার কি
বলব? আপনারা যা ঠিক করবেন তা ই হবে”।
ঠাকুরদা
বললেন- “শোন খুকু, একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারীর সহধর্মিণী বা একজন সার্থক হোম
মেকার বা একটি সুসন্তানের মা হিসাবে নারীর সম্মান অন্যদের তুলনায় বেশী বই
কম নয়। তারপর জীবন কি শুধুই পয়সা রোজগারের
জন্য? স্বামীর সান্নিধ্য, সন্তানের আদর ভালবাসা, সমাজসংসারের জন্য ত্যাগ তিতিক্ষার
কি কোন মূল্য নেই? তোমরা যারা উচ্চশিক্ষিত উচ্চবিত্তের মানুষ, তারা যদি সন্তান
ধারনপালনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে দেশ তথা সমাজ অর্ধ শিক্ষিত ও অশিক্ষিত
লুম্পেনে ভরে যাবে। জগত সংসার নিমজ্জিত হবে অন্ধকারে। রসাতলে যাবে পূর্ব পরুষের হাজার বছরের
কষ্টার্জিত সংস্কৃতি ও সভ্যতা।
খুকুর পিসী এই সময় থাকতে না পেরে বললে-“মেয়ে
হয়ে জন্মালে যদি সন্তান ধারনপালনই মূল ধর্মকর্ম হয়, তাহলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার
প্রয়োজন কি?
সভায় কিছুক্ষণ
নিরবতা নামল। এখনও সমস্যা সমাধানের কোন দিশা পাওয়া গেল না। খুকুর বাবা অবনী বাবা, গৃহ শিক্ষক অনিমেষ বাবুকে অনুরধ
করলেন-“জ্যেঠু এবার আপনি কিছু বলুন”।
অনিমেষ বাবু বললেন- “ আমি যখন পড়াই তখন কাকে
পড়াচ্ছি সে ছেলে না মেয়ে তা দেখি না। শিক্ষক হিসাবে আমার কাছে ছেলেও যা মেয়েও তাই।সমাজে
উভয়েরই সমান প্রতিভার প্রয়োজন।বর্তমান যুগে সত্যিকারের সভ্য ও শিক্ষিত সমাজ
গঠনে উচ্চশিক্ষিত মায়েদের বিশেষ প্রয়োজন।তাঁরা সুসন্তানের জন্ম দেবেন ও
পালন করবেন"। এই পর্যন্ত বলে তিনি তাঁর সুললিত কণ্ঠে আবৃত্তি করার ঢঙে বললেন-“ গুরুদেবের
কণ্ঠে ধ্বনি তুলে বলি, শুনেছি মেয়েরা প্রধানত দুই জাত।এক জাত প্রধানত মা, আর এক
জাত প্রিয়া। ঋতুর সঙ্গে তুলনা করা যায় যদি, মা হলেন বর্ষাঋতু। জলদান করেন, ফল দান
করেন, নিবারন করেন তাপ,ঊর্ধ্বলোক থেকে আপনাকে দেন বিগলিত করে, দূর করেন শুষ্কতা,
ভরিয়ে দেন অভাব।
আর প্রিয়া
বসন্তঋতু।গভীর তার রহস্য,মধুর তার মায়ামন্ত্র,তার চাঞ্চল্য রক্তে তোলে তরঙ্গ।
এখন খুকু
বিচার করুক কি সে হতে চায়, বর্ষা না বসন্ত?
তবে সব শেষে
বলব ঘর ও্র বাহির দু দিকই বজায় রাখা যায় যদি ইচ্ছা থাকে। যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে।
যার যেমন
রেস্ত সে তেমন রাঁধবে। যার যেমন চুল সে তেমন বাঁধবে”।
খুকুর দিকে
তাকিয়ে তার বাবা বললেন-“ কি খুকু, এবার তুমি বল তোমার কি মত”?
খুকু বললে-“
আমার এখন মনে হচ্ছে যে বিয়ের পরে এইভাবে চাকরিটা বেশিদিন করা যাবেনা”।
খুকুর পিশি
জানতে চাইলেন-“এ ভাবে মানে কি”?
-“মানে আমি এক
জেলার এক গ্রামের ইস্কুলে পড়ে থাকব আর ও আরেক জেলায় থাকবে, এ ভাবে বেশীদিন
চলতে পারেনা। আরেকটা কথা মনে হচ্ছে যে,
আমি আমার ট্যালেন্টটা আন্য ভাবেও কাজে লাগাতে পারি।পড়াশুন শিখেছি বলে যে চাকরিই
করতে হবে তার কোন মানে নেই।বিশেষ করে একজনের রোজগারেই যখন সংসার চলতে পারে”।
(বর্তমান সামাজিক পটভূমিকায় এটি একটি পরীক্ষা মূলক রচনা।পাঠক পাঠিকা গণ, আপনাদের মতামত জানালে বাধিত থাকব।) ইতি,
(বর্তমান সামাজিক পটভূমিকায় এটি একটি পরীক্ষা মূলক রচনা।পাঠক পাঠিকা গণ, আপনাদের মতামত জানালে বাধিত থাকব।) ইতি,
তরুণ কুমার
বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৬.০১.২০১৬
No comments:
Post a Comment