Monday, 3 October 2016

লুচি


                              লুচি

ভোলা কোন দিন লুচি খায়নি।চেখে দেখা তো দূরের কথা সে জিনিষ সে চোখেই কোনদিন দেখেনিশুধু মায়ের মুখে   শুনেছে যে ওর বাবা কলকাতা শহরে যে বাড়িতে রান্না করতেন তারা খুব লুচি খেত।শুধু ভোলাই নয়, ওদের গাঁয়ের কোন বাচ্ছাই কোন দিন লুচি খায় নি।তার উপর ভোলা যখন খুব ছোট তখন ওর বাবা ওকে রেখে মারা যান। তারপর থেকে তার মা একাই খেটে খুটে কোন রকমে সংসার চালান এদিকে ভোলা যখন তখন লুচি খাবার বায়না ধরে। আর পা ছড়িয়ে বসে হাপুস নয়নে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকে  – “আ...মি লু ......চি ...খা ...ব।তখন ওর মা ওর গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন –“বেশ তো বাবা খাবি।তুই অনেক অনেক লেখাপড়া করে বড় হ, তারপর বড় হয়ে বড় চাকরী করে অনেক টাকা রোজগার করে যখন বড় মানুষ হবি, তখন লুচি  খাবি।ভোলা কান্না থামিয়ে গোল গোল চোখ করে মায়ের কাছে জানতে চাইত- লুচি খেতে গেলেও পড়াশুনো করতে হবে?
-হ্যাঁ বাবা পড়াশুনো ছাড়া কোন গতি নেই।
-বাবা বুঝি অনেক পড়াশুনো জানত?
-জানতই ত? না হলে কি আর জমিদার বাড়ি কাজ পায়?
সাধারণত নিচু ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে কোন Ambition থাকে না, তারা পড়তে হয় তাই পড়ে।কেন যে পড়ছে তাও বোঝে না।কিন্তু ভোলার মা নিজে লেখাপড়া না জানলে কি হয়? নিচু ক্লাসেই ভোলার মধ্যে একটা Ambition  তৈরী করে দিলেন।লুচি যদি খেতে হয় তো পড়াশুনো করতে হবে।আর ভোলাও রোদ্দুর জল ঝড় উপেক্ষা করে, মাইল তিনেক হেঁটে বই বগলে পাশের গাঁয়ের ইস্কুলে যেতে লাগল  বড় হয়ে চাকরি করে লুচি খাবার জন্যে।ছোট বেলা থেকেই সুকুমার রায়ের ‘খাই খাই’ কবিতাটা তার  প্রিয়।এবং একেবারে কণ্ঠস্থ।আবৃত্তি করতে বললেই সে ঐ কবিতাটা হড় হড় করে আওড়ে দেয়।সে দৃঢ়  প্রতিজ্ঞা নিয়ে মন দিয়ে পড়াশুনো করে যথা সময়ে, সম্মানে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল।এবার সে  কলকাতায় যাবে চাকুরী খুঁজতে আর লুচি খেতে।ইস্কুলের মাস্টার মশাইরা কিন্তু তাকে আর তার মাকেও অনেক করে বুঝিয়ে বলে ছিলেন, যে উচ্চমাধ্যমিকটা অন্তত পাশ করুক, তারপর চাকরীর চেষ্টা করুক।কিন্তু ভোলাকে ভোলান গেল না।তার আর তর সইছে না।সে অনেক বছর অপেক্ষা করেছে, আর নয়। তাকে এক্ষুনি কলকাতায় যেতে হবে চাকরী খুঁজতে আর সেই সঙ্গে......।
ভোলা আজ কলকাতায় যাবে।তাই গাঁ জুড়ে সাজ সাজ রব।কারন ভোলার মতো মাধ্যমিকে অনেকে পাশ করলেও সে একাই কলকাতায় যাচ্ছে চাকরী খুঁজতেভোলার মা, ঠাকুরের থানে মানত করলেন, ভোলা যেন জমিদার বাড়িতে গিয়ে তার বাবার কাজটা পেয়ে যায়।ওদের গাঁয়ের এক দাদু ভোলাকে জিজ্ঞাসা  করলেন- তা বাবা ভোলা কলকাতায় গিয়ে তুমি উঠবে কোথায়?
ভোলা বুক চিতিয়ে গর্বের সঙ্গে উত্তর দিয়ে ছিল – কেন?জমিদার বাড়িতে? বাবা যেখানে কাজ করত, সেই মস্ত  বড় লাল দুতলা বাড়িতে?   
-    সে বাড়ি তুমি চেন?
-    চেনা চিনির কি আছে? তারা খুব বড় লোক, রোজ দু বেলা লুচি খায়।সবাই তাদের চেনে।শ্যালদা ইষ্টিশনে জিজ্ঞাসা করলেই যে কেউ দেখিয়ে দেবে।
যথা সময়ে দুগগা দুগগা বলে ভোলার মা, তার হাতে ফুল কাটা টিনের পেঁটরা আর বগলে বিছানা মাদুর দিয়ে, ইষ্টিশন থেকে রেলে চাপিয়ে রওনা করিয়ে দিলেন।আর পোই পোই করে মনে করিয়ে দিলেন যে কেউ যদি জানতে চায় যে ও কলকাতায় কেন যাচ্ছে?ও যেন চাকরীর কথা বলে। ভুলেও লুচির নাম যেন উচ্চারণ না করে।আর কলকাতায় পৌঁছে সবার আগে সে যেন একটা পোস্টো কার্ড ফেলে,তার পৌঁছনর খবর দেয়। জীবনে এই প্রথম ভোলা একা একা রেলে চেপে দূর দেশে পাড়ি দিচ্ছে, ফলে সে একটু দুরু দুরু বক্ষে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিল এক দাদু ওকে জিজ্ঞাসা করলেন–কত দূর যাবে খোকা? খোকা ডাকটা ভোলার মোটেই ভালো লাগলো নাহতে পারে ও বয়সের তুলনায় ও একটু বেঁটেই, তা  বলে ওর মতো  দস্তুর মতো একজন মাধ্যমিক পাশকে খোকা বলবে?মুখ গোঁজ করে সে উত্তর দিল- কলকাতায়।
- বেড়াতে যাচ্ছ বুঝি?
-না, চাকরী খুঁজতে আর লুচি...।
-চাকরীটা না হয় বুঝলাম, কিন্তু লুচিটা কি?
-না।লুচি কিছু নয়।
দাদু হাসতে হাসতে বললেন –কিছু নয় বললে হবে?আমাদের সময়ে লুচিই ছিল আসল খাবার।বিয়ে বাড়ি বল?অন্নপ্রাশন পৈতে বল?জামাইষষ্ঠী ভাই ফোঁটা বল?লুচি ছিল একেবারে যাকে বলে মাস্ট। কুমড়োর ছক্কার সঙ্গে লুচি।ছোলার ডালের সঙ্গে লুচি।বোঁদে পায়েসের সঙ্গে লুচি।লুচি ছাড়া কিছু ভাবাই যেত নাএকজন সহযাত্রী বললেন সে কথা আর বলতে?তবে সে সব দিন কি আর আছে?সে রামও নেই, সে অয্যোধ্যাও নেই।ভালো ঘীইও নেই আর লুচিও নেই।  ডালডায় কি আর লুচি হয়? খেলেই অম্বল তাই আজকাল লুচির আকাল পড়েছে আগের মতো আর লুচির দেখাই পাওয়া যায় না।ভোলা কান খাড়া করে সবার কথা শুনছিল।সে ভীষণ রকম দমে গেল। তাহলে কি দেশ থেকে লুচি একেবারে ভ্যানিস হয়ে গেল?এখন কি হবে?তাহলে জমিদার বাড়ি গিয়েই বা কি হবে?মা বলেছিল লুচি খেতে হলে পড়াশুনো করতে হবে।মায়ের কথা শুনে সে পড়াশুনো করেছে,মাধ্যমিক পাশও দিয়েছে, আর এখন শুনছে যে দেশ  থেকে নাকি লুচি খাওয়াটাই উঠে গেছে।কান্না পেতে লাগল তার সেই সময় হঠাৎ তার মনে হল যে কামরার এই লোক গুলো তো তাদের গাঁয়ের লোকেদের  মতোই গরীব, তাই বলছে  লুচি পাওয়া যায় না। তাই  বলে কি জমিদাররা,  যারা আগে দুবেলা লুচি খেত তারাও খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে? নিশ্চই না। সুতরাং এদের কথা শুনে হাল ছাড়লে চলবে না।একবার বাড়ি ছেড়ে যখন বেরিয়েছে, তখন শেষ দেখে তবে ছাড়বে।কিন্তু শ্যালদা ইষ্টিশনে নেমে সে থমকে একেবারে থ মেরে গেল। শয়ে শয়ে লোক পিঁপড়ের মতো লাইন দিয়ে, এ গেট সে গেট দিয়ে পিল পিল করে দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।পৃথিবীতে এতো যে লোক আছে তা জানত না ও। এতো লোক একসঙ্গে দেখেওনি সে কোন দিন ।আর তারা সব দল বেঁধে এক এক দিকে  ছুটে চলেছে কেউ ছুটছে ডান দিকে, তো কেউ  বাঁদিকে। কেউবা ছুটছে সোজা নাক বরাবর।দুদণ্ড দাঁড়িয়ে কাউকে যে সে কিছু জিজ্ঞাসা করবে? তা লোকের গুঁতোয় গুঁতোয় সে একেবারে জেরবার। আবার বগলের মাদুর জড়ান বিছানাটা নিয়েও হয়েছে আর এক জ্বালা।লোকের ধাক্কায় ধাক্কায় মাঝে মাঝেই সে বোঁ করে চরকি ঘোরান ঘুরে যাচ্ছে।এর সঙ্গে জুটছে ফ্রি স্যামপেলের কুবাক্য- কোথাকার উজবুক রে, আর সময় পেল না, আপিস টাইমে  লাট খাচ্ছে। কিন্তু ভোলার সমস্যা হল যে ও বুঝেই উঠতে পারছে না যে কোন দিকে যাবে? শেষে ভাবলে যে, যা থাকে কপালে গড্ডালিকা প্রবাহে  ভেসে গেট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া যাক। তারপর জমিদার বাড়ি খুঁজে নেয়া যাবে।স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে সে আরো অবাক হল মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গাড়ির ভিড় দেখে।কিন্তু এখানেও সেই একই অবস্থা,কেউ কোথাও দুদণ্ড স্থির হয়ে দাঁড়াচ্ছে নাকেউ ওর দিকে তাকাচ্ছেও না।দিকে দিকে বন্যার জলের মতো বয়ে চলেছে লোকজন।ভোলা কিন্তু দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,জমিদার বাড়ি তাকে খুঁজে বের করতেই হবে।এদের মধ্যে কেউ না কেউ ওর কথা শুনবে।ও লোকেদের পিছনে, ঠেলার পিছনে,সাইকেলের পিছনে,রিকশার পিছনে,ছুটে ছুটে জনে জনে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো – হ্যাঁ ভাই বলতে পার জমিদার বাড়িটা কোন দিকে?একটা লোক বগলে একটা ছাতা নিয়ে হন হন করে হেঁটে যাচ্ছিল, ভোলা তাকে তাড়া করল- এই যে ও ভাই, ও দাদা, ও ছাতা বগুলে দাদা, বলি জমিদার বাড়িটা কোন দিকে......।এ লোকটিও কোন উত্তর না দিয়ে একটা চলন্ত বাসে উঠে বেরিয়ে চলে গেল।ভোলা পরিশ্রান্ত হয়ে  আবার স্টেশনে ফিরে এসে এক যায়গায় বসে পড়ল।নাঃ কেউ ওর কথা শুনছে না।তাহলে কি করবে এবার?আবার গাঁয়ে ফিরে যাবে? হঠা ওর নজরে পড়ল লাল জামা পরা একজন লোক, একটা বড় ঝুড়ির উপর বসে আপন মনে খৈনী ডলছে। লোকটিকে ওর বেশ পছন্দ হল।হ্যাঁ, একেই জিজ্ঞাসা  করা যেতে পারে জমিদার বাড়িটা কোথায়? পায়ে পায়ে তার কাছে গিয়ে বিনয়ে বিগলিত হয়ে হসি হাসি মুখে বলল- ভাই মুটিয়া, জমিদার বাড়িটা কোন দিকে বলতে পার? লোকটি  খৈনীতে তালি মারতে মারতে বলল – কৌন সা জমাদার?
-     আরে জমাদার নয়, জমিদার, জমিদার কা বাড়ি খুঁজতা হ্যায়। (আজকাল হিন্দিগান আর সিনেমার কল্যাণে গাঁয়ের মানুষেরাও একটু আধটু হিন্দি বলতে পারে )
-     জমিনদার? জমিন্দার লোগ তো গাঁও মেঁ র‍্যাতা হ্যায়। ইখানে কুথায় মিলবে?
-     আরে গেরামের নয়, খোদ শ্যালদা কা জমিদার হ্যায়।মস্ত বড় লাল দোতলা বাড়ি হ্যায়।আর তারা রোজ দুবেলা লুচি খাতা হ্যায়।তুমি তাকে চিন্তা হ্যায়?
লোকটি নিজের মনে বিড় বিড় ক’রে আওড়াল – দুবলা জমিন্দার রোজ  লুচি খাতা হ্যায়? তারপর ভোলা কে বললে – ঠিক হ্যায় তুম হিঁয়া পর ব্যায়ঠো,  হাম  আভি পাতা লাগাকে আতা ভোলাকে বসিয়ে সে হাওয়া হয়ে গেল।  আর ভোলা সেখানে বসে বসে কলকাতার চলমান দৃশ্য দেখতে লাগল। খানিকক্ষণ পরে লাল জামা ফিরে এসে বললে –মিল গিয়া। চল তুম হামারা সাথ। ভোলা লাল জামার পিছন পিছন চলল। কিছু দূর হেঁটে, কয়েকটা রাস্তা পার হয়ে এক জায়গায় এসে, দূর থেকে লাল জামা তাকে একটা লাল  রং এর বাড়ি দেখিয়ে দিয়ে চলে গেল। ভোলা গুটি গুটি পায়ে এসে দাঁড়াল সেই  বড় বাড়ির বড় গেটের সামনে। সেখানে তখন পাহারা দিচ্ছিল বিশাল  চেহারার এক দারোয়ান। সে হেঁকে বললে- ইয়ে লেড়কা কিস কো মাংতা। ভোলাও সমান তেজের সঙ্গে জবাব দিলে – জমিদার বাবু কো মাংতা
-কিঁউ মাংতা?
- আরে হামারা বাবা যে এখানে লুচি ভাজতা......।
-হাঁ হাঁ সামঝা, ভিতর মে চলিয়ে যাও সামনে বাবা বৈঠা হ্যাঁয়।
-দূর মুখ পোড়া, সেই কবে হামারা বাবা মর গিয়া ?
গেট খুলে  দারোয়ান তাকে বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে দিল।
দুপাশে ছোট বাগান,মাঝখানে মোরাম ঢালা চওড়া রাস্তা।রাস্তা ধরে একটু এগুতেই সামনে পড়ল বাড়িটাবাড়ির একতলায় একজন ভীষণ মোটা  লোক, কোলা ব্যাঙ এর মতো হাত পা ছড়িয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে  শুয়ে ঘামছে আর মার খাচ্ছে। তাকে দমাদ্দাম কিল চড় ঘুসি মেরে যাচ্ছে একটা সাঙ্ঘাতিক জোয়ান লোক। ভোলা বুঝতে  পারল না ফর্সা মোটা লোকটা বিনা প্রতিবাদে খামাকা কেন এরকম মার খাচ্ছে ? ।তবে তাদের রকম  সকম দেখে ওর খুব হাসি পেয়ে গেল। সে  নিজেকে সামলাতে না পেরে হো  হো করে হেসে উঠল।তার হাসির শব্দে বারাণ্ডার দুজনে বোঁ করে ঘুরে তার দিকে তাকাল। ফর্সা মোটা লোকটি জমিদার বাবু।সকালে তিনি স্নানের আগে তেল মালিশ করাচ্ছিলেন। ভোলাকে দেখে জলদগম্ভীর স্বরে জানতে চাইলেন- কে তুমি? কোত্থেকে আসছ? আর কি চাও? এক সঙ্গে তিন তিনটে প্রশ্ন শুনে ঘাবড়ে গেল ভোলা। সে ঘাড় মাথা চুলকে, আমতা আমতা করে বললে –  আঁজ্ঞে  আমি ভোলা, বাড়ি থেকে আসছি। একটা লুচি? না লুচি নয়। চাকরী চাই।
-     বাড়ি কোথায়?
-     আঁজ্ঞে ভাটিপোঁতা।
-      ভাটিপোঁতাটা কোথায়?
-     আঁজ্ঞে ওই ঝিকরিপোঁতার পাশে।  
- আর ঝিকরিপোঁতাটা ওই ভাটিপোঁতারই পাশে। তাই তো?
-      একদম কারেক্ট।
-     তা চাকরিটা নাহয় বুঝলাম, কিন্তু লুচিটা কি?
-     আঁজ্ঞে আমার বাবা এখানে লুচি ভাজতেন। সেটাই মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেছে।
-     তোমার বাবা আমার বাড়িতে লুচি ভাজতেন ? কবে ভাজতেন ? কি নাম তার ?
-     আঁজ্ঞে মহাদেব পাল।
-     ও হ্যাঁ মনে পড়েছে, তা সেতো অনেক কাল আগে মারা গিয়েছে ? তুমি কি তার ছেলে ? তা বেশ বেশ  তোমাকে  তো তবে রাখতেই হয়।    
জমিদার বাবুর বাড়িতে ভোলার চাকরী হল বটে, তবে  তার আশা অপূর্ণ রয়ে গেল। সেই রাত্রে সে মাকে চিঠি লিখল–পূজানিয়া মা, জমিদার বাড়িতে আমার চাকুরী হইয়াছে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শে তাঁদের লুচি খাওয়া চিরতরে বন্ধ হইয়া গিয়াছে।এ বাড়ীতে আর লুচি ভাজা হয় না। পৃথিবীতে এতো ভালমন্দ বস্তু থাকিতে মুখপোড়া  ডাক্তারেরা লুচিটাই যে  কেন বন্ধ  করিল জানি না। তুমি আমার প্রনাম নিও। ইতি ভোলা ।                                             
    
 তরুণ কুমার বন্ধোপাধ্যায়  
০২/১০/২০১৬
                                    


No comments:

Post a Comment